৩৬ বছর পর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে এসেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে কানাডাকে।
প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেও বেলজিয়ামের কাছে হারতে হয়েছিল ১-০ গোলে।
রবিবার ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হারের পর বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় দলটির। অন্যদিকে হাফ ছেড়ে বাঁচল ক্রোয়েশিয়া।
প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বিপাকে পড়ে যায় জলাকতো দালিচের দল। তাই শেষ ষোলোয় খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। আন্দ্রেজ ক্রামারিচের জোড়া গোলে জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়েই মাঠ ছাড়ে গত আসরের রানার্সআপরা।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার মাত্র ৬৮ সেকেন্ডের ভেতরই এগিয়ে যায় কানাডা। ডানপ্রান্ত থেকে বুকাননের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান দলটির সবচেয়ে বড় তারকা আলফোনসো ডেভিস। চলতি বিশ্বকাপে যা দ্রুততম গোলও। তবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবমিলিয়ে এটিই কানাডার প্রথম গোল। ৩৬ বছর আগে ১৯৮৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেললেও কোনো গোল পায়নি। তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরে মাঠ ছেড়েছে।
এক গোল হজম করলেও কানাডাকে মাথায় উঠতে দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। দুই পাশ থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঢেউয়ে জমে উঠে খেলা। সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে খুব বেশি সময় নেননি লুকা মদ্রিচরা । ৮ মিনিটের এক ঝড়ে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখান কানাডাকে।
৩৬ মিনিটে পরিকল্পনামাফিক পেনাল্টি বক্সের বাঁ কর্ণারে বল পেয়ে যান ইভান পেরিসিচ। বড় টুর্নামেন্টে কেন তিনি ক্রোয়েশিয়া অন্যতম পরীক্ষিত খেলোয়াড় সেটার প্রমাণ দেন আবারও। বক্সের ভেতরে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে বল ঠেলে দেন এই উইঙ্গার। সেখান থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি ক্রামারিচ।
৪৪ মিনিটে দুর্দান্ত এক দৌড়ে কানাডার দুর্গে হানা দেন জুরানোভিচ। প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে মার্কো লিভাজার উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান তিনি। সেই পাস থেকে গোল করতে কেবল পায়ের এক ছোঁয়াই যথেষ্ট ছিল লিভাজার। তাতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
বিরতির পর অবশ্য ফিরে আসার প্রবল চেষ্টা করে কানাডা। কিন্তু সেটা মাত্র কিছুক্ষণের জন্যই ছিল। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া আক্রমণে আরো ধার বাড়াতে থাকে। ৭০ মিনিটে আবারও পেরিসিচ-ক্রামারিচ জুটির জাদু। বাঁ প্রান্ত থেকে পেরিসিচের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ক্রামারিচ। অবসর নেওয়া মারিও মানজুকিচের পর বিশ্বকাপে তার পা থেকেই জোড়া গোল দেখল ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময়ের ৪ মিনিটে কানাডার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন বদলি মাইয়ের।