ভালোবাসা দিবসে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেনি। তবে সারাদেশের মতো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বসন্ত ও ভালোবাসার ছোঁয়া লেগেছিল যাদের বেশিরভাগ ছিল স্থানীয়।
আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সৈকতের লাবনী, সীগাল, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
স্কুলছাত্রী তনিমা খানম বলেন, “একদিকে পয়লা ফাল্গুন অন্যদিকে ভালোবাসা দিবস। তাই দিনটি উদযাপনে চার বান্ধবী সৈকতে এসেছি। ভালোই লাগছে।”
অনেকেই সৈকতে ঘুরেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।
রাঙামাটি থেকে সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন মমিনুল হক। তিনি বলেন, “পাহাড় থেকে সন্তানদের আবদার রক্ষায় সমুদ্রে এসেছি। তেমন উপচে পড়া ভিড় নেই। ফাঁকা সৈকত, খুব ভালো লাগছে।”
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেস সিকদার জানান, কোন বিশেষ দিবসে নয়, কক্সবাজারে পর্যটক বেশি আসে সাপ্তাহিক ছুটিতে। কোনো ছুটি না থাকলেও আজ ৫০ হাজারের কাছাকাছি পর্যটক এসেছে।
তিনি বলেন, “পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজের প্রায় অর্ধেক রুম বুকিং হয়েছে। যারা এসেছে তারা নিজেদের মতো বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন করছে।”
তবে বিশেষ কোনো আয়োজনের সংবাদ তিনি দিতে পারেননি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক কোনো ছুটি না থাকায় খুব বেশি পর্যটক আসেনি। তবে সৈকতে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোকজন ঘুরতে এসেছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।