চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি মাইজপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাদশা (৫৬) খুনে তার পুত্র এনামুল হক(২০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনামুল তার পিতার হত্যায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুঁইছড়ি এলাকার ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাদশা কাজের সময় তার পুত্র এনামুলকে নানা সময়ে বকাঝকা করতেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল এনামুল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমাতে গিয়ে এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ ছেলে রাতের কোনো এক সময়ে ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার পিতাকে হত্যা করে।
খবর পেয়ে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) কামরুল হাসান ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন সহ তদন্তকারী পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় ছেলে এনামুলের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
জানা যায়, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাদশার ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে এনামুল। হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু হালদার বলেন, “আজ শুক্রবার ভোরে ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে নিহতের ছেলে এনামুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে বাবাকে হত্যা কথা স্বীকার করে। ব্যবসায় সময় দিতে গিয়ে নানা কারণে মনোমালিন্য থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে এনামুল। সেই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল।”
আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসান বলেন, “ভুক্তভোগীর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে সে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। বর্তমানে অভিযুক্তকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।”