বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব রায়ছটায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. কায়ছার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘটিত ঘটনায় নিহত কায়ছার খানখানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মৃত ওমর আলীর পুত্র।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার সময় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কায়ছারের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলম নুরের ছেলে আকবর ও মেজবাহ উদ্দিন সহ ২জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব রায়ছটা গ্রামের মো. কায়ছারের সাথে একই এলাকার আল নুরের ছেলে ফরিদ গংদের জায়গা-জমির বিরোধ চলে আসছিল।
চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী কায়ছারের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে ফরিদ গংরা এ হামলা করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
আবার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে কেউ কেউ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কায়ছার স্খানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে বসে গল্প-গুজব করার সময় ফরিদ গংরা নানা ধরনের কথার এক পর্যায়ে হামলা করে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এতে কায়সার গুরুতর জখম হলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, কায়ছারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২জনকে আটক করা বলে জানা যায়।