দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
এদিন সকালে রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অতঃপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তারপর জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনীর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরবর্তীতে আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকগণ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তিতে জাতির পিতার জীবন সংগ্রাম এবং ত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি জাতির পিতার গৌরবময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে তার জীবনাদর্শ থেকে সন্তানদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য অভিভাবকদেরকে অনুরোধ জানান।
শিশুদেরকে জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে উল্লেখ করে তাদেরকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তিনি উৎসাহিত করেন।
সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন।
শেষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।