চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন কর্তৃক আসন্ন ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘চবি কেবল এলিটদের নয়, চাষা–ভূষার সন্তানদেরও’, ‘শহিদের ক্যাম্পাসে, ফি–এর নামে জুলুমবাজি চলবে না চলবে না’, ‘ফি এর নামে জুলুমবাজি, মানি না মানব না’, ‘ভর্তি ফি হোক সহনীয়, সুযোগ হোক নিম্নবিত্তের’, ‘ভর্তি ফি কমাতে হবে, আবেদন সংশোধন ফি কমাতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রহমান বলেন, এলিটদের পাশাপাশি গরিব চাষা–ভূষার সন্তানেরাও এখানে পড়াশোনা করে। সবার সামর্থ্য একরকম নয়, সে বিষয়টি বিবেচনা করে সবার জন্য ন্যায্য সুযোগ দিতে হবে। আন্দোলনে চাকসু প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তানিম মুশফিক বলেন, আপনারা আমাদের এলিটিজম দেখাবেন না। আমরা আপনাদের ভোট দিয়ে চাকসুতে প্রতিনিধি বানিয়েছি, কিন্তু আপনারা অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের এই বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ রয়েছেন। আপনারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাঁড়ান।
আন্দোলনের সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক তাহসান হাবিব বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ধনীদের জন্য নয়, গ্রামগঞ্জের প্রান্তিক অঞ্চলের চাষা–ভূষার কৃষকের সন্তানদের জন্যও। প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্ধারণ করা অন্যায্য ফি সহনীয় মাত্রায় যদি নিয়ে না আসেন তাহলে আমাদের আন্দোলন কঠিন থেকে আরো কঠিনতর দিকে এগোবে। আগামী রবিবারের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রশাসন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো না হলে প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তাহসান হাবিব। উল্লেখ্য, গত বছর পোষ্যকোটা বাতিল এবং ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বছর থেকে পোষ্যকোটা বাতিল এবং ভর্তি পরীক্ষার ফি কমাবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। এই বছর পোষ্যকোটা বাদ দিলেও পূর্বের মতো ১ হাজার টাকা এখনও ফি নির্ধারণ করেছে। যার কারণে এ বছর শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নেমেছে।












