লামায় ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার পথে হামলা, আহত ২০

সড়ক অবরোধ-গাড়ি ভাঙচুর, আটক ৫

চকরিয়া ও বান্দরবান প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়া ও লামার সীমান্তবর্তী ফাইতং ইউনিয়নে ইটভাটায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় ইটভাটা শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ইটভাটা শ্রমিকসহ পাঁচজনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চকরিয়ামানিকপুর সড়কের কাকারার বাদশার টেক নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে আসা পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষ টিম যৌথবাহিনীর সদস্যদের (সেনাবাহিনী, পুলিশ র‌্যাব, বিজিবি) সমন্বিত সহায়তায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালাতে যায় পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বান্দরবান জেলা প্রশাসন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়বান্দরবানের লামার ফাইতং ইউনিয়নে অন্তত ২০টি ইটভাটায় অভিযান চালানোর জন্য বুলডোজার, এক্সেভেটর নিয়ে রওনা দেন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের লোকজন।

এ সময় তারা ফাইতং ইউনিয়নে পৌঁছার জন্য প্রবেশস্থল চকরিয়ামানিকপুর সড়কের কাকারার বাদশার টেক নামক স্থানে পৌঁছলে আগে থেকে ওই এলাকায় শত শত ইটভাটার শ্রমিক সড়কে শুয়ে পড়েন। সড়কে ট্রাক, ডাম্পারসহ বিভিন্ন বস্তু ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যাওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আভিযানিক দল প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন। এ সময় থেমে থেমে ইটভাটার ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ চলে ঘণ্টাব্যাপী। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ায় সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী টিমের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করা হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটকের পর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় লিখিত এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েত আহমেদ বলেন, ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসন ও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর ওপর হামলা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, হামলায় আমি নিজেও আহত। পুলিশবিজিবির ৮ সদস্য আহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়েছে। আরও অজ্ঞাত ৫শ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
পরবর্তী নিবন্ধসব ত্রুটি সারিয়ে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাচ্ছে পাইপলাইনে