কবিতা লিখবো বলেই মেঘের বাড়ি এলাম
দু‘ দণ্ড মেঘের গায়ে নিজেকে মেলে ধরার বাসনায়,
তাকিয়ে রইলাম নিঃসীম আকাশের দিকে
এক বুক শূন্যতা নিয়ে,
শূন্যতা না থাকলে যে প্রেম হয় না
শুধু শয্যা পাতা হয়, অক্ষরজ্ঞান থাকলে বুঝি
কবিতা পড়া হয়! তার মাঝে অবগাহন করার মতো
ছোট্ট একটা মন লাগে, যেখানে চাইলেই তুমি
সাঁতার কাটতে পারো সারাদিন।
মালি যেমন ফুলের সুবাস
নিজ গাত্রে ধারণ করতে পারে
সেভাবে বুঝি আমরা পারি?
তার জন্যও লাগে ভালোবাসা।
একটা শরীর যেমন ভালোবাসা ছাড়া
এক দলা মাংস মনে হয়
ঠিক তেমনি দু‘চোখে বিষ্ময় না থাকলে
পাহাড় কেবল মাটি ও পাথরের ঢিবি মনে হবে,
যেমন সাগরের জল কি মাপা যায় যদি তুমি
ঝর্নার কান্নাই শুনতে না পেলে,
ঠিক তেমনি কবিতা হলো সেই অনুভব
যাকে লেখার জন্য, দেখার জন্য
অনুভুতির অনুরণনে সঞ্চারিত করার জন্য
মনের ভিতর একটা প্রেমের ঘর বানাতে লাগে,
যেখানে তুমি শয্যা পেতে ছুঁয়ে দেখতে পারো
কবিতার আকাশ, বাতাস, মাটি ও আগুন জল।







