নগরের চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। ধৃতরা হচ্ছেন– মো. আব্দুল মালেক (৭৫) ও সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৪৫)। গত শনিবার দিবাগত ভোর রাতে গাজীপুরের সদর ও কোনাবাড়ি থানা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ৯ ভরি ১৫ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। ধৃতরা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ এর মাধ্যমে কৌশলে প্রতারণা করে বলে স্বীকার করে।
জানা গেছে, স্বর্ণালংকার আত্মসাতের ঘটনায় জাফরিন হাসান (৩২) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা গত ১ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে তার মা সামশুন নাহার বেগম বাসা থেকে সবজি কেনার জন্য বের হন। চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার লতিফ সুফিয়া টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা বলেন। তারা নিজেদের মালেক শাহ দরবার শরীফ থেকে আগত বলে পরিচয় দিয়ে জাফরিনের চাকরি ও স্ত্রীর অসুস্থতা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে। এসময় সামশুন নাহার বাসায় ফিরে আলমারিতে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এবং তা শপিং ব্যাগে ভরে প্রতারকদের হাতে তুলে দেন। এর মধ্যে স্বর্ণালংকার ছিল ১০ ভরি ৮ আনা ও নগদ টাকা ছিল ৫ লাখ টাকা। সিএমপি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। তথ্য–প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের সদর থানার লক্ষীপুরা কলাবাগান নুর জাহানের বাড়ি এলাকা থেকে মো. আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার নীলনগর এলাকার বনলতা জুয়েলার্স থেকে সুকুমার রঞ্জন ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল মালেক স্বীকার করেন, গত ৪০ বছর ধরে ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামে এক ধরনের কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। সিডিএমএস পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া।











