গ্যালেরিয়া-ইউর সেকেন্ড হোম : চট্টগ্রামে ভবিষ্যৎ হসপিটালিটির নতুন দ্বার

বাণিজ্যিক রাজধানীর পাশাপাশি চট্টগ্রামকে পর্যটন রাজধানীতে পরিণত করার প্রত্যয়

| সোমবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

আনভেইলিং দ্য ফিউচার অফ চট্টগ্রাম’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত গ্যালেরিয়া’র কনসেপচুয়াল লঞ্চিং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সূত্রপাত হলো হসপিটালিটি জগতের এক নতুন অধ্যায়েরযা সময়ের সাথে সাথে বিস্তার লাভ করবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। গ্যালেরিয়াইউর সেকেন্ড হোম, চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম ফয়’স লেক সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা একটি পূর্ণাঙ্গ হসপিটালিটি ভেঞ্চার, যা বিনিয়োগকারী এবং সেবা গ্রহিতা সকলের জন্য উপযোগী করে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অতিথিদের আগমনে গ্যালেরিয়া’র অঙ্গন হয়ে উঠে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর। চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, শিল্পোদ্যোক্তা ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠে এক প্রেরণাদায়ক মিলনমেলা। সবাই এক বাক্যে বলেন, গ্যালেরিয়ার এই দূরদর্শী উদ্যোগ শুধুমাত্র হসপিটালিটির মান বাড়াবে না, বরং চট্টগ্রামকে একটি আন্তর্জাতিক মানের হসপিটালিটি হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় গ্যালেরিয়াইউর সেকেন্ড হোমকে। এর সার্ভিস এরিয়া, অপারেশন প্রসেস, কনসেপ্ট মডেল, সর্বোপরি প্রপার্টি ট্যুরের মাধ্যমে হসপিটালিটির এই নতুন সংযোজনকে উপস্থাপন করা হয়। উদ্বোধনী আলোচনায় গ্যালেরিয়া টিম তাদের ভিশন তুলে ধরে বলেন, গ্যালেরিয়া শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি প্রতিশ্রুতি যা চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ ব্যবসা, পর্যটন ও লাইফস্টাইল সংস্কৃতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

গ্যালেরিয়ার মূল শক্তি তার ডাইভার্সিফাইড সার্ভিস প্রজেকশন। ভিন্ন ভিন্ন ডেমোগ্রাফি’র বিভিন্ন টার্গেট গ্রুপকে সেবা প্রদানের জন্যই গ্যালেরিয়া পরিকল্পিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ট্যুরিস্ট কিংবা বিজনেস ট্রাভেলার বা এনআরবি গেস্টসহ সকলের জন্য থাকছে বিশ্বমানের একোমোডেশন। সুবিশাল ব্যাংকুয়েট হলগুলো সুসজ্জিত করে পজিশনিং করা হয়েছে কর্পোরেট ইভেন্ট, কনভোকেশন বা সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপযোগী করে, সবক্ষেত্রেই প্রিমিয়াম সার্ভিস প্রদান কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনটি ভিন্নধর্মী রেস্তোরাঁ, ২৪/৭ অল ডে ডাইনিং, স্পোর্টস লাউঞ্জ, রুফটপ ওপেন ট্যারেস মিউজিক ক্যাফে প্রস্তুত হচ্ছে সকলের জন্য অনন্যমাত্রা’র কালিনারি এক্সপেরিয়েন্স দেয়ার জন্য। ইনফিনিটি পুল, জাকুজি, জিমনেসিয়াম ও বিজনেস সেন্টারের মাধ্যমে গ্যালেরিয়া এক ছাদের নিচে এনে দিতে যাচ্ছে ‘লাইফস্টাইল, রিলাক্সেশন ও প্রোডাক্টিভিটি’র নিখুঁত সমন্বয়।

গ্যালেরিয়ার প্রতিশ্রুতি কেবল হসপিটালিটিতে সীমাবদ্ধ নয়। এই ‘ইউর সেকেন্ড হোম’ কনসেপ্ট এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের তরুণ প্রজন্ম, হসপিটালিটি পেশাজীবী এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। গ্যালেরিয়া বিশ্বাস করে, সঠিক সেবা ও মানসম্মত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একটি জনপদের পরিচয় বদলে দেওয়া যায়, আর সেই পরিবর্তনের সূতিকাগার হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর পাশাপাশি পর্যটন রাজধানীতে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে গ্যালেরিয়ার এগিয়ে চলাকে অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ভূয়সী প্রশংসা করেন। সবাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, গ্যালেরিয়াইউর সেকেন্ড হোম এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিজের সম্ভাবনাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবে, ফিরে পাবে ঐতিহ্যের বন্ধন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে গিয়ে ডুবে যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় মার্শাল আর্ট ও সিতোরিউ কারাতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সংবর্ধনা