বান্দরবানে বাজারফান্ডের লিজের মেয়াদ ৯৯ বছর করাসহ ৮ দফা দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর জেলায় সকাল–সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান গ্রান্ডভ্যালি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
দাবিগুলো হলো– ব্রিটিশ রচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিল, জমি ক্রয়–বিক্রয় চাকুরি শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল, তিন পার্বত্য জেলায় জমি ক্রয়–বিক্রয় এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু, বাজারফান্ড প্লটের লিজের মেয়াদ–৯৯ বছরে উন্নীত করা ও বন্ধ রাখা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা, উন্নয়নের স্বার্থে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পরিবেশবান্ধব ইটের ভাটাসহ কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি চালু করা, আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যাহারকৃত ২৪৬টি সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, চাকুরিসহ সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
এসময় অন্যদের মধ্যে বান্দরবান জেলা নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, জেলার যুগ্ম সম্পাদক শাহজালাল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল আবছারসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিঙ মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, ধাপে ধাপে আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। জেলা প্রশাসক এবং পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। সমন্বয়হীনতায় জনগণের মধ্যে দুর্ভোগ এবং বৈষম্য বাড়ছে।
দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেয়া না হলে আগামীতে ডিসি অফিস ঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে একসঙ্গে কর্মসূচি দেয়া হবে।