শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নানা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেগুলো হচ্ছে প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্থায়ী আনসার বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি টহলের ব্যবস্থা থাকবে। পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নজরদারি জোরদার করতে আইপি ক্যামেরা স্থাপন ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি এবং উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড সতর্ক থাকবে। সভায় জানানো হয়, প্রতিমা বিসর্জন কেবল জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে দিতে হবে। সেটি দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হতে হবে। বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জন ঘিরে দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত থাকবে। পাশাপাশি বিসর্জন এলাকা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পর্যাপ্ত সড়ক বাতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় পূজামণ্ডপে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইভটিজিং, মাদক সেবনসহ যেকোনো অপরাধ কঠোর হাতে দমন করা হবে জানিয়ে গ্রামীণ পর্যায়ে প্রতিমা আনা–নেওয়ার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সড়ক সংস্কার ও মেরামত দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সভায় বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, প্রশাসন, আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে।
সভায় পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।











