রামুতে আহত হাতির আক্রমণ, ৩ জনকে নেওয়া হলো ঢাকায়

মাইন বিস্ফোরণে আহত হাতিকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে এ ঘটনা, চিকিৎসকসহ আহত ১৫

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ১৭ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হাতিকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন চিকিৎসকসহ বন বিভাগের ১৫ জন কর্মকর্তাকর্মচারী। এর মধ্যে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের বিজিবির হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। রামু উপজেলার দারিয়ারদীঘি সংরক্ষিত বনে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার (গতকাল) সকালে ওই তিনজনকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, একই ঘটনায় আহত আরও ১২ জন কক্সবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকায় পাঠানো আহতরা হলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন ও গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি বন রেঞ্জ থেকে খবর আসে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হাতিটি বর্তমানে রামু উপজেলার দারিয়ারদীঘি সংরক্ষিত বনে অবস্থান করছে। এ খবরের প্রেক্ষিতে শুক্রবার একদল চিকিৎসকসহ বন বিভাগের ১৫ সদস্যের একটি দল সংরক্ষিত বনে যান। এ সময় কিছু বুঝার আগে হঠাৎ পেছন থেকে সবার উপর আক্রমণ করে হাতিটি। এতে ১৫ জন আহত হয়। হাতিটি আক্রমণ করে একটি বন্দুক কেড়ে নিয়ে বনের ভেতর ফেলে দিয়েছিল। পরে অনেক খুঁজাখুঁজি করে বন্দুকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

তিনি আরও বলেন, আসলে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি আহত হাতিটি যাতে সুচিকিৎসা পায়। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বনকর্মীরা আহত হলেও এখন হাতিটির গতিবিধি আমরা লক্ষ্য রাখছি।

বন বিভাগের তথ্যমতে, হাতিটির সামনের ডান পা প্রায় অবশ অবস্থায়। ওই পায়ের তলা ও নখ উড়ে গেছে। বাকি তিনটি পায়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে হাতিটিকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় ১১ মাসে ৮৪১ আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধঅক্টোবরের মধ্যে মূল প্রস্তুতি সারতে চায় ইসি