ঢাকা থেকে ভুল ট্রেনে ওঠার পর টাঙ্গাইলে রেলস্টেশনে নামা নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে রেলস্টেশনের ঘারিন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ জানান। গ্রেপ্তাররা হলেন, টাঙ্গাইল সদর থানার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া (২৭)। তারা পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ বলেন, ভুক্তভোগী নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে আসেন। পরে সেখান থেকে তিনি ভুলবশত উত্তরবঙ্গগামী দ্রুতযান এঙপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়েন। ট্রেনে উঠে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন, পরে ঘুম ভাঙ্গলে যাত্রীদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে টাঙ্গাইলে থাকার কথা এবং ভুল ট্রেনে ওঠার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে যান ওই নারী এবং স্টেশনে থাকা জিআরপি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
রেলওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরে কালিহাতী উপজেলার সল্লায় একটি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ সেখানে চলে যায়। এ সময় পুলিশের এক সদস্য অটোরিকশাচালক দুলালকে ওই নারীকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু দুলাল তরুণীকে প্রথমে স্টেশনের পিছনে কাঠবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে স্টেশন সংলগ্ন ব্রাহ্মণকুশিয়ায় রুপু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুপু মিয়া ও সজিব খান তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ভোরের দিকে ভুক্তভোগী নারী রেলস্টেশনে গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানান।
তখন রেলপুলিশ টাঙ্গাইল থানাকে অবগত করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালের দিকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। টাঙ্গাইল থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।