তিন পার্বত্য জেলায় চাষ উপযোগী বিনা উদ্ভাবিত জাতসমূহের সম্প্রসারণ ও শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের হলরুমে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট–বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাসিম হায়দার, রাঙামাটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. একরাম উদ্দিন, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উপ–প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটির উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, খাগড়াছড়ির উপপরিচালক মো. বাছিরুল আলম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা খাগড়াছড়ি উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জুয়েল সরকার।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ–প্রকৃতি সারাদেশের থেকে ভিন্ন এবং চাষযোগ্য সমতল জমির পরিমাণ অনেক কম। এখানে নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন কিছু জাত আবিষ্কার করে কৃষিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব জাত কোনটি এ অঞ্চলের জন্য বেশি কার্যকর হচ্ছে, সেই তথ্যই গতকাল কৃষকের থেকে জানছি। এতে আগামীতে কোন জাত নিয়ে অধিকতর গবেষণা করব সেটাই নির্ধারণ করা হবে। এ অঞ্চলে মিশ্র ফলের বাগানে সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি নিয়ে কাজ চলছে। কৃষকরা তার সুফলও পেতে শুরু করেছে। আগামীর বাংলাদেশে ফলের বড় হাব হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
কর্মশালায় তিন পার্বত্য জেলার কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করে বক্তব্যে তাদের মতামত তুলে ধরেন।