৬৫ বছর পর সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের বদরখালে স্লুইস গেটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ স্লুইস গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী জুন মাসের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সম্প্রতি সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম স্লুইস গেট নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, সৈয়দপুর ইউনিয়নের বদরখালের স্লুইস গেট অকেজো হয়ে পড়ার কারণে কৃষকদের জমিতে সাগরের লোনা পানি প্রবেশ করে অনেক ক্ষতির শিকার হন। তবে এখন এ স্লুইস গেট নির্মাণ হওয়ার পর কৃষক ভাইরা জমিতে নানান রকম ফসল উৎপাদন করে অনেক লাভবান হবেন। তবে সীতাকুণ্ডে উপজেলার বেড়িবাঁধ এলাকায় রয়েছে ১৫টিরও অধিক অকেজো স্লুইস গেট। এ অকেজো স্লইস গেট দিয়ে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি ও সাগরের জোয়ারের পানি এক হয়ে কৃষি জমি ও বসতঘরে প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন হাজার হাজার পরিবার। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রশান্ত তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বাপাউবো’র উপকূলীয় বাঁধের পোল্ডার নম্বর–৬১/১ এ অবস্থিত স্লুইস গেটসমূহ ষাটের দশকে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় ৬টি স্লুইস অকেজো হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে বদরখালের স্লুইসটি চলতি অর্থবছরে জুনের শেষ দিকে নির্মাণকাজ শেষ হবে আশা করা যাচ্ছে। আর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের শিকদার খালের উপর অবস্থিত স্লুইসটির কাজ বাস্তবায়নের নিমিত্ত ডিজাইন প্রণয়ন কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। বরাদ্দ ও অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাকি স্লুইসসমূহ পর্যায়ক্রমে পুনঃনির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।