চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই মানুষ তাদের সকল মৌলিক অধিকার হারিয়েছে। ১৫ বছর তো শেখ হাসিনা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে বর্তমানে কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটা নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটা বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাশ করতে হবে। আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের সময় সুবর্ণচরে বিএনপির যারা ভোট দিতে গিয়েছিল তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এখন আমাদেরকে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আছিয়ার ধর্ষণকারীদের শাস্তির আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর লালখান বাজার আমিন সেন্টারের সামনে মহিলা দলের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দল।
মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অপরাধী অপরাধ করার আগে আইনের প্রয়োগ যদি ঠিকঠাক থাকত, আইনের শাসন যদি প্রয়োগ করা হতো, তাহলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। তিনি দ্রুততম সময়ে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় এনে সবাইকে আছিয়ার পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ধর্ষণ শেখ হাসিনার আমলে গণধর্ষণে পরিণত হয়েছিল। বিচারহীনতার কারণে এই সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় নারী ও শিশু ধর্ষণের হার দিনদিন বাড়ছে। তাই ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিশ্চিত করতে হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি সকিনা বেগম, সহ–সভাপতি মারিয়া সেলিম, এড. আশরাফী বিনতে মোতালেব, রেনুকা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নী, মাহমুদা আক্তার ঝর্ণা, ফারহানা জসিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাবেয়া বেগমর রাবু, যুগ্ম সম্পাদক শামসুন্নাহার প্রেমা, জাহানারা চৌধুরী, কামরুন নাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আহমেদ লিমা, ফারহানা রোজা, হাবিবা বেগম প্রমুখ।