সংগীত মানব জীবনকে সমৃদ্ধ করে, আত্মবিশ্বাস ও শক্তি যোগায়। সুরের ভেলায় ভাসে মানবতা; সংগীতের মাধ্যমে জীবনের অর্থ খোঁজা। সংগীতের সুরে বাঙালির ইতিহাস বেঁচে থাকে এবং এটি সমাজে পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে। গান ও সুর জীবনকে আনন্দময় করে তোলে এবং মানবতার জয়গান গায়। সংগীতের মাধ্যমে মানুষের সাথে এক গভীর যোগাযোগ সৃষ্টি করে এবং আমাদের ভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশিত হয়। সংগীতের শক্তি জাতি ঐক্যের অনুপ্রেরণা। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের এই অনুষ্ঠান সংগীত, সংস্কৃতি, মানবতা ও দেশপ্রেমের ঐক্যের সেতু হিসেবে কাজ করেছে এবং একে অপরকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে সংগীতের ভূমিকা তুলে ধরেছে।
বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভা, বার্ষিক পুরস্কার ও সনদ বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রামস্থ থিয়েটার ইনস্টিটিউট (টিআইসি) মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা। তিনি বলেন, শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি এঙট্রা কারিকুলাম হিসেবে সংগীতের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি ভবিষ্যতে তাদের জীবনে সাফল্য আনতে সাহায্য করবে। সংগীতের মাধ্যমে দেশপ্রেম, সংস্কৃতি এবং মানবতা ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছানো সম্ভব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ইজাহারুল আহম্মেদ শিহাব ও সহকারী কমিশনার সুব্রত হালদার, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সুবীর কান্তি দাশ। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি লায়ন কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে বাচিক শিল্পী গৌতম চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক সাংবাদিক যীশু সেন। বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক রিমন সাহা, সদস্য সচিব প্রিয়তোষ নাথ, রূপক ভট্টাচার্য, পলাশ দে, উৎপল চক্রবর্তী, ডা. সৌমিত্র দাশ, সমীরণ সেন প্রমুখ। অতিথিরা বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় সঙ্গীত বিভাগে ২০২৪ সালের উত্তীর্ণ সেরা শিক্ষার্থীদের সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের প্রায় ৩০০ জন ছাত্র–ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সঙ্গীতানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি রজনীকান্ত সেন, কবি অতুল প্রসাদ সেন ও কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়সহ ছয়টি গ্রুপে সমবেত সংগীত, একক ও দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন। অতিথিদের সম্মানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং অভ্যর্থনার নিদর্শন হিসেবে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে যন্ত্রে সহযোগিতায় ছিলেন– যন্ত্রশিল্পী কি–বোর্ডে নিখিলেশ বড়ুয়া, বাঁশিতে প্রাণেশ ভট্টাচার্য, অক্টোপ্যাডে অনুজিত বড়ুয়া লিমন, বেস গিটারে তন্ময় বড়ুয়া, তবলায় রূপক ভট্টাচার্য, পলাশ দে ও সৌমেন দাশ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।