বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের কানুনগোখীল বেড়িবাঁধ এলাকায় ছুরিকাঘাতে রিকশা চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২০) খুনে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. আরমান (২১) কে গতকাল রবিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের আতুরার ডিপু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত জাহিদ বাঁশখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া গ্রামের মৃত হাবিব উল্লাহর পুত্র। অপরদিকে অভিযুক্ত মো. আরমান (২১) সরলের ৭নং ওয়ার্ডের কানুনগোখীল এলাকার আনু মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, জুয়া খেলে নিজের প্রায় ৩৫ হাজার টাকা নষ্ট ও ধারদেনা করে সরলের ৭ নং ওয়ার্ডের কানুনগোখীল এলাকার মো. আরমান। সে দেনা পরিশোধের জন্য পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শনিবার রাতে পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকা থেকে ১৫০ টাকায় জাহিদুল ইসলামের রিকশা ভাড়া করে কানুনগোখীল যাওয়ার জন্য। সেখানে পৌঁছার আগে নির্জন স্থানে গাড়ির পিছন থেকে রিকশা চালক জাহিদকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে। তাতে সে চিৎকার করে গাড়ি থেকে পড়ে গেলে গাড়ি না নিয়ে আরমান পালিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার সময় তার ব্যবহৃত বাটন মোবাইলটি ফেলে যায়। এদিকে রিকশা চালক জাহিদদের আর্ত চিৎকারে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডা. অনিক বড়ুয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত বাটন মোবাইলের সূত্রে ধরে খুনের প্রধান আসামি মো. আরমানকে ভোর বেলায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের আতুরার ডিপু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলামের মা সাদেকা বেগম (৪৪) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে গ্রেপ্তার মো. আরমানের জবানবন্দি গ্রহণ করার পর রবিবার বিকালে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়।
উল্লেখ্য, জাহিদুল ইসলাম জাহেদের পিতা বাঁশখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া গ্রামের হাবিব উল্লাহ বিগত দু’মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসাবে জাহিদ রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।