কবরস্থান পরিষ্কারের নামে লোহাগাড়ায় দিন দুপুরে বন বিভাগের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের টংকাবতী সড়কের পাশে এই গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ কাটায় বাধা প্রদান করা হলে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র বন বিভাগের অফিসে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির হুমকি দেয়।
জানা যায়, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে টংকাবতী সড়কের প্রায় ৪শ মিটার বন বিভাগের জায়গা। উক্ত জায়গায় প্রায় ৪০ বছর আগে সড়কের পাশে বনবিভাগ ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগায়। বর্তমানে সড়কের পাশে বড় সাইজের প্রায় ৩০টি গাছ রয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশে রয়েছে কবরস্থান। গত রোববার থেকে কবরস্থান সংস্কার কাজ শুরু করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে জঙ্গল পরিষ্কার করে কাটা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় শতাধিক গাছ। এছাড়া ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে সড়কের পাশের বড় সাইজের কয়েকটি গাছ।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা জানান, টংকাবতী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বন বিভাগের জায়গা। গাছগুলো রোপণও করেছিল বনবিভাগ। গাছ কাটার স্থান থেকে দেড় শতাধিক ফুট দূরত্বে বনবিভাগের চেক স্টেশন এবং আধা কিলোমিটার দূরত্বে সহকারী বন সংরক্ষক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা কার্যালয়। তাদের নাকের ডগায় দিন–দুপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কবরস্থান সংস্কারের নামে এভাবে বনবিভাগের গাছ কেটে নেয়া ও হুমকি প্রদান করা খুবই দুঃখজনক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বনবিভাগের গাছ কাটার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। কবরস্থান সংস্কার কাজে জড়িত স্থানীয় মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ জানান, কবরস্থানটি তাদের খতিয়ানভুক্ত জায়গায়। কবরস্থান সংস্কার ও বাউন্ডারী ওয়াল দেয়ার জন্য গাছগুলো কাটা হচ্ছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পদুয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন মিয়া জানান, কবরস্থানের জায়গা খতিয়ানভুক্ত হলেও যথাযথ নিয়ম মেনে গাছগুলো কাটতে বলা হয়েছিল। এছাড়া সড়কের পাশে বন বিভাগের গাছগুলো কাটতে নিষেধ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে গাছ কাটার সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরা বনবিভাগের অফিসে এসে হুমকি প্রদান করেন। সড়কের পাশের গাছ কাটতে বাধা দিলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাবে বলে জানিয়ে দেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।