চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ বিনির্মাণে অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক দপ্তরে তথ্য সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তথ্য প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। জুলাই বিপ্লবের অর্জন ধরে রাখতে সবাইকে একযোগে দেশ গঠনে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। গত বৃহস্পতিবার তথ্য মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি অংশগ্রহণকারীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, মেলার এই আয়োজন তখনই সফল হবে যখন কোন তথ্যসেবা প্রাপ্তি তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। তিনি মেলার এই শিক্ষাকে ধরে রাখতে সবাইকে তথ্য প্রদানে ইতিবাচক মনোভাব পোষনের আহ্বান জানান। ‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের হাতিয়ার, তথ্যই শক্তি, দুর্নীতি থেকে মুক্তি’ এই স্লেগানকে সামনে রেখে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি চট্টগ্রামের যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) একেএম গোলাম মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. তারেক আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর পরিচালক প্রফেসর মো. ফজল কাদের চৌধুরী, দুদকের উপ–পরিচালক নাজমুসচ্ছাদায়াত, সনাক চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ড. আনোয়ারা আলম এবং টিআইবির সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের কোঅর্ডিনেটর কাজী শফিকুর রহমান।
‘দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার’ শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের মাধ্যমে যে অর্জন তা যেন নষ্ট না হয় সে জন্য সকল দপ্তরকে তথ্য প্রদানে অনেক বেশি আন্তরিক হতে হবে। তারা বলেন, স্বপ্রণোদিত হয়ে জনগণকে তথ্য জানাতে সরকারি ও বেসরকারি সকল দপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।