বিজয় আমার অহংকার

শরণংকর বড়ুয়া | শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

সাহস দৃঢ়তার উদ্যমে প্রেরণার নব সৃষ্টির উন্মাদনায়। বিশ্বকে জয় করার সব কিছুর হারানোর বেদনা বিধুর শোকগাথা ও অনুরণন তোলে মনের গহীনে। সব অবলম্বন বিসর্জন দিয়ে বীর বাঙালি লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছে বিজয়। অর্জন করেছে ভূখণ্ডের মানচিত্র।

লাল সবুজের পতাকা। আত্মত্যাগ বাঙালির অস্থিমজ্জার অংশ হল এই স্বাধীনতা। ৭১ সালে হানাদারদের নারকীয় তাণ্ডবে বুকে তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে, ছিনিয়ে নিয়েছে মা বোনে ইজ্জত। বাংলার দামাল ছেলেরা বর্বতার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। কলম এখন শানিত রেখেছে জনগণ। আজ অবরুদ্ধ মুক্তির আলোর ছটা মেঘের ফাঁকে হাসছে স্বাধীনতার লাল সূর্য। সিরাজদৌল্লা বলেছিলেন, বাঙালিরা শুধু কাঁদতে জানে, হাসতে জানে না। হে বাঙালি, তোমরা অনেক কেঁদেছ। বক্ষমুক্ত ক্রন্দনে শহর গ্রাম আনাচে কানাচে জলোচ্ছ্বাসে প্রলয় বয়ে গিয়েছে। তোমাদের আবেগ অসহায় ক্রোধ বেদনা এখন বহমান। হে বাঙালি, তোমরা কখনো থেমে যাওয়ার মানুষ নও। তোমাদের রক্তের ধমনীতে রয়েছে প্রতিবাদের বহ্নিশিখা। এক সময় আমরা পরাধীন ছিলাম। অথচ আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেছে। আমাদের কল্লোলিত ক্রন্দনের ধ্বনি পৃথিবীর সমস্ত মানুষ শুনছে।

আমরা আজীবন স্বাধীনচেতা, প্রত্যয়ী দেশের মাটিকে মায়ের মত ভালোবাসি গভীরভাবে। এগিয়ে চলতে হবে থেমে গেলে চলবে না। চুপ থেকে শহীদের রক্তকে সস্মান করলে তাঁদের আত্মা কষ্ট পাবে। কোনোভাবেই কোন অশুভ শক্তি মাটি ফুঁড়ে উঠতে না পারে। কখন পাপ মগ্ন নির্মম নিষ্ঠুর কান্নায় আমাদের যেন স্পর্শ করতে না পারে। আমারা সব ধর্মানুলম্বী ভাই ভাই এক কথায় বাঙালি। কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে রাস্তায় নেমেছিলাম। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দেশ স্বাধীন করার জন্য। তাই একে অপরকে সম্মান করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। আসুন সকলে মিলে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিজয়ের মাসে শপথ গ্রহণ করি। শহীদদের উর্বর ভূমি এই মাটি আমার, এই দেশ আমার। এই স্বপ্নের দেশকে নতুন করে গড়ি। যেন শহীদদের আত্মা শান্তি পায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরক্ত দিয়ে কেনা
পরবর্তী নিবন্ধএডভোকেট সাইফুল হত্যার বদলা আইনীভাবে নিতে হবে