ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্যে নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকার দুইটি সড়কে যানবাহন তো দূরের কথা পথচারীর চলাচলও কঠিন হয়ে উঠে। ভয়াবহ রকমের বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকা ব্যাটারি রিকশাগুলো পথচারীদের বড় ধরনের ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে আসলেও রিকশা চালকদের যেনো কিছুতেই কিছু যায় আসে না। পুলিশও থাকে নির্বিকার। এতে করে দিনে দিনে ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় থেকে একটি রাস্তা জেমিসন হাসপাতালের পাশ দিয়ে ঘাটফরহাদবেগ হয়ে মাস্টারপুলে গিয়ে মিলিত হয়েছে। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির প্রবেশমুখ অসংখ্য ব্যাটারি রিকশার দখলে থাকে। রাস্তার মোড় দখল করে এতো বেশি রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে যে, গাড়ি বা সিএনজি টেক্সি তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে পথ চলাও কঠিন হয়ে উঠে। গলির মুখের এই জটলার চাপ আন্দরকিল্লা চত্বর থেকে সিরাজউদ্দৌলা রোড পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে।
পথচারীদের পক্ষ থেকে রিকশাগুলোকে জেমিসন হাসপাতালের পাশে কিছুটা চওড়া জায়গায় অবস্থান নেয়ার জন্য দফায় দফায় অনুরোধ করা হলেও সেগুলোতে তারা কান দেয় না। রাস্তার মোড় দখল করে তারা যাত্রী হাকানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা কাটাকাটিসহ বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও রিকশাচালকেরা থাকে সংঘবদ্ধ এবং নির্বিকার।
একই ধরনের বেহাল পরিস্থিতি বিরাজ করে সিরাজউদ্দৌলা রোডের খলিফা পট্টিমুখী রাস্তার মোড়েও। অগুনতি ব্যাটারি রিকশার দখলে থাকে এই মোড়ও। সড়কের ব্যস্ততম এই পয়েন্টেও গাড়ি বা টেক্সিতো দূরের কথা, পথচারীদের পথ চলা কঠিন হয়ে উঠে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাটারি রিকশাগুলো শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলাচল করলে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু তাদেরকে শৃঙ্খলায় ফেরানোই কঠিন। স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি উপরোক্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ব্যাটারি রিকশার শৃঙ্খলা ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন।