তেরো বছর আগে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল রোববার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি বলেছেন, এই আলোচনা থেকে যেটা সুস্পষ্ট হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে, শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে আর্থিক স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অধীনে আরেকটা সরকার হতে হবে, এমনভাবে তারা শক্তিশালী হবে। খবর বিডিনিউজের।
বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে গত ৩ অক্টোবর সুজন সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে আট সদস্যের সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ৯০ দিনের মধ্যে এই কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। গতকাল দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বদিউল আলম বলেন, অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলো যে কলঙ্কজনক নির্বাচন করেছে বা পাতানো নির্বাচন করেছে, এটা করার মাধ্যমে তারা শপথ ভঙ্গ করেছে, সংবিধান ভঙ্গ করেছে; এজন্য তাদের বিচারের আওতায় আনার কথা সবাই বলেছে। আজকে যারা এসেছেন তারা অনেক অভিজ্ঞ গবেষক। আমরা তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের যারা এসেছে, তারা সবাই ‘না’ ভোটের বিধান চালু করার কথা বলেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে গণতন্ত্র আসবে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন।
সংসদে সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন এবং নারীর জন্য সরাসরি আসন থাকতে হবে ও প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা যে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতির কথা বলেছি সেটা হতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আবদুল আলীম, জেসমিন টুলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সভায় অংশ নেন।