ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপসহ বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জাহাঙ্গীর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রয়েছে। এছাড়া জাহাঙ্গীর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। তার রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করাসহ ফোনালাপের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। খবর বাংলানিউজের।
গোবিন্দগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ তার সহযোগীরা মিলে ৩ আগস্ট গোবিন্দগঞ্জের বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। ওইদিন থেকে তিনি ও তার লোকজন আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর জাহাঙ্গীর আলম গোপনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। সেই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। বিষয়টি প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের নজরে এলে প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা চালাতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার মান্দায় তার বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথনের সেই ক্লিপটি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলও টেলিফোনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।