বৈষম্য বিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শরীরে ৬টি গুলি নিয়ে যন্ত্রণায় কাতর ও অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র রিয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পটিয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দ। দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর রিয়াদের চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা নিয়ে হাত বাড়িয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম নেছার।
গত ৫ আগস্ট নগরীর বহদ্দারহাটে ছাত্র আন্দোলনে শরীরের বিভিন্ন অংশে ৩৯টি গুলিবিদ্ধ হন রিয়াদ। এরপর ৩৩টি গুলি শরীর থেকে বের করা হলেও মাথা, চোখ, নাক ও মুখে ৬টি ছররা গুলি নিয়ে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে মারাত্মক শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে ঘরে কাতরাচ্ছেন পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণ খাইন গ্রামের এই মেধাবী ছাত্র। এ নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর দৈনিক আজাদী পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ, ৬ গুলি শরীরে নিয়ে যন্ত্রণায় কলেজ ছাত্র রিয়াদ, অর্থাভাবে হচ্ছে না উন্নত চিকিৎসা’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর আজাদীর অনলাইন ভার্সন ও ফেসবুক পেইজে ভিডিও নিউজও প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে বিষয়টি নজরে আসে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ তার পরিবার, স্থানীয় বিএনপি ও দৈনিক আজাদীর স্থানীয় প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে রিয়াদের বিষয়ে নানা খোঁজখবর নেন এবং তার উন্নত ও সুচিকিৎসার ব্যাপারে তারা আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়ান। গত সোমবার রিয়াদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সহায়তা দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম নেছার। এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা প্রমুখ। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম রিয়াদের পরিবারে গিয়ে তার উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তার হাতে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগর, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম প্রমুখ।
এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালানোর নির্দেশ দাতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররাও কোনোভাবে এ বিচার থেকে রেহাই পাবে না। তারা আরো বলেন, কলেজছাত্র রিয়াদের ব্যাপারে আমরা অবগত ছিলাম না। দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত সংবাদ দেখে আমরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে কিছু আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়েছি। তার আরও আর্থিক সহায়তা দরকার। বিভিন্নভাবে আরও কিছু অর্থ তুলে দিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।