আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত নেতৃবৃন্দ বলেছেন– দেশদ্রোহী একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন জেলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুস ও বিভিন্ন দ্বীনি স্থাপনায় হামলা করেছে। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পরবর্তী এরা মসজিদ–মাদরাসা দখল, মাজার ভাঙচুর, শিক্ষক–শিক্ষিকাদের অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো গর্হিত কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। ধর্মীয় আবরণে এদের এহেন অবাঞ্ছিত আস্ফালন শান্তির ধর্ম পবিত্র ইসলামকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যা ক্রমাগত দেশের শান্তি–শৃঙ্ক্ষলা ও সুস্থতা– স্থিতিশীলতা বিনষ্টসহ দেশ–জাতিকে পারস্পরিক হানাহানি এবং নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিবে বলে নেতৃবৃন্দ আশংকা প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সর্বস্তরের সুন্নী জনতার উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ.) জুলুস এবং বিভিন্ন দ্বীনি স্থাপনায় ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুরাদপুর চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
আল্লামা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– আল্লামা কাজী মইনউদ্দীন আশরাফী, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, লায়ন এম রফিক কোম্পানি, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, নাছির উদ্দীন মাহমুদ, মাওলানা আব্দুন নবী আল কাদেরী, মাওলানা মাইনুদ্দীন চৌধুরী হালিম, মুফতি মাওলানা আব্দুন নবী হাক্কানী, মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান আজহারী, মাওলানা সোলায়মান আলী রজভী, মাওলানা শফিউল আযম আলকাদেরী, মাওলানা মহিউদ্দীন তাহেরী, মাওলানা মাসুমুর রশিদ, মাওলানা জয়নুল আবেদীন কাদেরী, মাওলানা এনাম রেজা, মাওলানা বেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২নং গেটে গিয়ে শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।