মুর্তজা বশীর : চিত্রশিল্পী ও লেখক

| বৃহস্পতিবার , ১৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

মুর্তজা বশীর (১৯৩২২০২০)। চিত্রশিল্পী, মুদ্রাতত্ত্ববিশারদ ও সংগ্রাহক, ভাষা সৈনিক। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা উপমহাদেশের প্রখ্যাত ভাষাবিদ, . মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং মা মরগুবা খাতুন। তাঁর পারিবারিক নাম আবুল খায়র মুর্তজা বশীরুল্লাহ। তিনি ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউশনে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়ার করোনেশন ইনস্টিটিউশন থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)-থেকে মুর্তজা বশীর শিল্পকলা বিষয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি কলকাতা আশুতোষ মিউজিয়াম থেকে টিচার্স ট্রেনিং সার্টিফিকেট (আর্ট অ্যাপ্রিসিয়েশন) লাভ করেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইতালির ফ্লোরেন্স একাদেমি দেল্লে বেল্লে আরতিতে এক বছর চিত্রকলা ও ফ্রেস্কো বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ড্রইংএর শিক্ষক হিসেবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপক হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন। মর্তুজা বশীর মহান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ২২শে ফেব্রুয়ারি কলা ভবনের ছাদে কালো পতাকা উত্তোলনকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি শুধু চিত্রশিল্পী ছিলেন তা নন লেখক হিসেবেও তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।

তারঁ প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে আল্ট্রামেরিন‘ (উপন্যাস), ‘মিতার সঙ্গে চার সন্ধ্যে’ (উপন্যাস), ‘অমিত্রাক্ষর’ (উপন্যাস), ‘মুদ্রা ও শিলালিপির আলোকে বাংলার হাবশী সুলতান ও তৎকালীন সমাজ‘’(গবেষণা গ্রন্থ), ‘আমার জীবন ও অন্যান্য‘ (আত্মজৈবনিক গ্রন্থ), ‘কাচের পাখির গান’ (গল্পসংকলন) ‘টাটকা রক্তের ক্ষীণরেখা’, ‘ত্রসরেণু’, ‘তোমাকেই শুধু’, ‘এসো ফিরে অনুসূয়া’, ‘সাদায় এলিজি’ (কাব্যগ্রন্থ)। তিনি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক, এবং ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পুরস্কারে সম্মানিত হন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধসোনার বাংলাদেশ