অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা জয় দিয়ে করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ এইচপি। তাসমানিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তারা। শেষ ওভারে কিছুটা রোমাঞ্চের আভাস ছিল বটে। কিন্তু জেক ডোরানের বীরত্বে ৩ বল হাতে রেখেই জয় পায় তাসমানিয়া। বাংলাদেশ এইচপির দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাসমানিয়া পাওয়ার প্লেতে হারায় দুই উইকেট। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক টিম ওয়ার্ডকে বোল্ড করে উইকেটের খাতা খোলেন আলিস আল ইসলাম। ষষ্ঠ ওভারে নিভেথান রাধাকৃষ্ণনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আরেক স্পিনার রাকিবুল হাসান। আক্রমণাত্মক হতে থাকা ওপেনার নিকোলাস ডেভিস (৩০) ফেরেন মাহফুজুর রহমান রাব্বীর বলে। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে তাসমানিয়া। এরপর চার্লি ওয়াকিমকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন ডোরান। যার ফলে চতুর্থ উইকেটে আসে ৬৬ রানের জুটি। ২৬ বলে ২৫ রান করা ওয়াকিমকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন আবু হায়দার রনি। এরপর উইলপ্রেস্টউইজকে সাজঘরের পথ দেখান রাকিবুল। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়ে বাংলাদেশি বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি ডোরান। ৩৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৭১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এছাড়া ৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন রাফ ম্যাক মিলান। বাংলাদেশের হয়ে রাকিবুল দুটি, আলিস, রনি ও মাহফুজুর নেন একটি করে উইকেট। ডারউইনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৬ রান করে বাংলাদেশ এইচপি। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন তানজিদ হাসান ও জিশান আলম। কিন্তু নবম ওভারে পরপর দুই বলেই সাজঘরে ফেরেন তারা। কাইরন ইলিয়টের ওভারে রান আউটের শিকার হওয়া তানজিদ ২৯ বলে ২৮ রান করেন।
অপরদিকে ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে গেব বেলের হাতে ধরা পড়েন জিশান আলম। জোড়া ধাক্কার পর হাল ধরার চেষ্টা করেন গত ম্যাচে ফিফটি করা পারভেজ হোসেন ইমন। ২৯ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এছাড়া আফিফ হোসেন ১০, অধিনায়ক আকবর আলী ২০ ও শামীম পাটোয়ারী ১৩ রান যোগ করেন। তাসমানিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন বেল। এছাড়া একটি করে শিকার ইলিয়ট ও নিভেথান রাধাকৃষ্ণনের।