কক্সবাজারের সব থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। থানা পুলিশের পুরোপুরি সেবা সচল করতে কিছু সময় লাগবে। এর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্স–বাজারের রামুস্থ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি। মেজর জেনারেল সরওয়ার বলেন, দেশে চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের পাশে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীরাও। এ পরিস্থিতিতে নানা কারণে থানা পুলিশের সেবা কার্যক্রম পুরোদমে সচল করতে কাজ চলছে। খবর বাংলানিউজের।
দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের ৬টি থানা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মেজর জেনারেল শেখ সরওয়ার হোসেন বলেন, কঙবাজারে পুলিশের কার্যক্রম ও উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রতিটি থানায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। রয়েছেন আনসার সদস্যরা। থানায় কিছু আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লুট হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে জিওসি বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে থানার লুট করা মালামাল উদ্ধার করে থানায় ফিরেয়ে নিয়ে আসছেন। এটা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
কঙবাজার একটি সম্প্রীতিময় জেলা এবং এখানকার লোকজন শান্তি প্রিয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসবে। পর্যটকরা আবারও ভ্রমণে আসবেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি থানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন। তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষে খাবারসহ সকল সহযোগিতা দেওয়া হবে। থানায় যা যা প্রয়োজন দেওয়া হবে। কেননা পুলিশ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।
এ সময় কঙবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলামসহ সেনা কর্মকর্তা এবং পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।