গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। খবর বাংলানিউজের। সিআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাঁড়াশি অভিযান চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ–পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম। এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন একটি বাহিনীর সাবেক সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, একটি বাহিনীর কর্মকর্তা প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ওই চ্যানেলে খবর প্রচারের পর আলোচনায় আসেন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। গতকাল সোমবার সকাল থেকে আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নানান কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই বাবা–ছেলেকেও গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। সিআইডি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁস চক্রে পিএসসির সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়ের নামও এসেছে। সূত্রটি বলছে, পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্ন ফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত সংঘবদ্ধ চক্রটি। গোটা চক্রটিকে আইনের জালে আনতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সিআইডি।