পয়েন্ট হারিয়ে কোপা আমেরিকা কাপ শুরু করল ব্রাজিল। অথচ একতরফা এক ম্যাচ খেলেও কোস্টারিকাকে হারাতে পারলনা ব্রাজিল। ম্যাচটি শেষ হলো গোলশূন্যভাবে। এই প্রথম ব্রাজিল ও কোস্টারিকার কোনো ম্যাচ ড্র হলো। আগের ১১ লড়াইয়ের ১০টিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। একটিতে কোস্টারিকা। ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৯ শট নেয় ব্রাজিল। কিন্তু গোল করতে পারেনি একটিও। কোস্টারিকার গোল রক্ষক একাই লড়াই করেছেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকারদের বিপক্ষে। ক্যালিফোর্নিয়ার সোফি স্টেডিয়ামে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। ডান দিক থেকে দানিলোর লম্বা পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোলের চেষ্টায় সফল হননি রাফিনিয়া। পাঁচ মিনিট পর একটুর জন্য জালের দেখা পাননি রদ্রিগো। ডি বক্সের বাইরে লুকাস পাকেতার কাছ থেকে বল পেয়ে পায়ের কারিকুরিতে ভেতরে ঢুকে যান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। জায়গা খুব বেশি না থাকলেও দারুণ দক্ষতায় সবাইকে এড়িয়ে নেন আড়াআড়ি শট। সেটি একটুর জন্য থাকেনি লক্ষ্যে। ১৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে অনেক উপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন পাকেতা। ছয় মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে আবার বাইরে মারেন ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড মিডফিল্ডার। ২৫ মিনিটে রদ্রিগোরে দুর্দান্ত পাসে ফের সুযোগ পান পাকেতা। এবার শট নেন অনেকটা গোলরক্ষক বরাবর। হাত ওপরের দিকে তুলে ঠেকিয়ে দেন সেকেইরা। পরের মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের হেড বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ২৯ ব্রাজিল মিনিটে বল পাঠায় জালে। কিন্তু ভিএআর রেফারির সঙ্গে তিন মিনিটের বেশি সময় কথা বলে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই রকম আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ব্রাজিল। ৬০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগও আসে। রাফিনিয়ার নিচু ক্রসে ভিনিসিউসের ফ্লিকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পান রদ্রিগো। তার দ্রুত নেওয়া শটে হাক্সেল কিরোস ফিরিয়ে দেন। তিন মিনিট পর পাকেতার তীব্র গতির শট ফিরে আসে পোস্ট কাঁপিয়ে। আরও একবার গোলের দুয়ার থেকে ফেরে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৭০ মিনিটে নিষ্প্রভ জোয়াও গোমেস ও ভিনিসিউসের জায়গায় মাঠে আসেন সাভিনিয়ো ও এন্দ্রিক। বদলি নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোলের জন্য শট নেন এন্দ্রিক। কিন্তু গোল হয়নি। ৭৮ মিনিটে আবার দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন গিলেরমো আরানা।
দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে তার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক। ফলে পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।