পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের কার্যকর ভূমিকা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশে সফররত চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও গতকাল সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি (ড. হাছান) এ আহ্বান জানান। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান লিউ জিয়ানচাওয়ের সাথে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী চীনের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে রপ্তানি বৃদ্ধি, ওষুধ, সিরামিক, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্র প্রসার, চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অবকাঠামো নির্মাণ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের কার্যকর ভূমিকা বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় লিউ জিয়ানচাও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অবকাঠামো নির্মাণে আরও সহযোগিতা দিতে চীন প্রস্তুত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকায় সফররত ইতালির পররাষ্ট্র সচিব রিকার্ডো গুয়ারিগ্লিয়া মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম পশ্চিম ইউরোপের দেশ হিসেবে ইতালির ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। একইসঙ্গে ‘বাংলাদেশের সাথে ইতালির দ্বিতীয় পলিটিক্যাল কনসালটেশনে কো–চেয়ার’ হিসেবে যোগ দিতে আসা ইতালির পররাষ্ট্রসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগ্লিয়াকে স্বাগত জানান।