এই বাজেট জনবান্ধব ও যুগোপযোগী

বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ জুন, ২০২৪ at ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ

বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ২০২৪২০২৫ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেটকে ধারাবাহিক সরকারের আরও একটি জনকল্যাণমুখী, যুগোপযোগী এবং সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার সাহসী বাজেট হিসেবে মূল্যায়ন করে স্বাগত জানিয়েছেন। এ রকম একটি জনবান্ধব বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেনরাশিয়াইউক্রেন ও ইসরাইলফিলিস্তিন দীর্ঘ যুদ্ধের কারণে স্থবির বিশ্ব বাণিজ্য, অর্থনৈতিক মহামন্দা, নতুন মেরুকরণে বড় রাষ্ট্রগুলোর জোর প্রচেষ্টা, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। প্রবাসী আয়েও ব্যাপক ধ্বস, এমনই এক অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সরকারকে এ বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে অত্যন্ত সর্তকর্তার সাথে। সরকারের বিচক্ষণতায় বিশ্ব চলমান অস্থির প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক মহামন্দায়ও সরকার চেষ্টা করেছে গণমুখী, জনবান্ধব ও শিল্পবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা। আমাদের দেশ মূলতঃ কৃষি প্রধান দেশ, অতীতের ন্যায় এবারও কৃষি খাতকে অগ্রাধীকার দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা প্রসার, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাজেটে সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এই বাজেট প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের সুরক্ষা ও দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসাবে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য তিনি অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও অভিনন্দন জানান।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঘোষিত বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো দৃষ্টিপাত করে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটক মোকাবেলায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে, জাতীয় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতকে প্রধান্য দিয়ে নিন্মোক্ত বিজিএমইএ’র প্রস্তাবনা সমূহ সংশোধনীর মাধ্যমে বিবেচনা করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

তিনি উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫০% করা, বিকল্প ইনসেনটিভ প্রবর্তন না করা পর্যন্ত (২০২৯ সাল পর্যন্ত) পোশাক খাতের চলমান সকল ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখা, নগদ সহায়তার উপর আরোপকৃত ১০% কর প্রত্যাহার। পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা। এইচএস কোড ও ওভেন কাপড়ের ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। ইআরকিউর উপর আয়কর ২০% থেকে ১০% করা, এঙিট পলিসি এবং এঙপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রবর্তন করা। ননকটন বস্ত্র ও পোশাকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিশেষ নীতি সহায়তা। শ্রমিক কর্মচারীদের ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ বরাদ্দ এবং অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির উপর কর রেয়াত প্রদানের আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদুল আজহা কবে, জানা যাবে আজ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি যাচ্ছেন কাল, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন