রাউজান আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। হালদা নদীর নাব্যতা হ্রাসে নদী খনন, হালদার সাথে সংযুক্ত শাখা খাল খনন ও শাখা খালের স্লুইস গেইট সংস্কার করা হবে। হালদা নদী ও শাখা খালের মধ্যে কলকারখানা, ডেইরি ফার্ম, পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। রাউজান, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য ও হালদা পাড়ের বাসিন্দাদের নিয়ে কমিটি করে হালদার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। হালদা পাড়ে অকোজো হয়ে পড়ে থাকা হ্যাচারিগুলো পুনঃনির্মাণ ও নতুনভাবে আরো হ্যাচারি নির্মাণ করতে হবে। হালদা পাড়ের বাসিন্দা, জেলে ও মৎসজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য তাদেরকে গরু ক্রয় করে দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (২য় র্পযায়) কর্মশালায় অতিথির বক্তব্যে ফজলে করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাউজান উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোয়ায়েল ইসলাম। চন্দনাইশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ হাসান আহসানুল কবিরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সকলের সহায়তা পেলে হালদার পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সক্ষম হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগজ্যাই মারমা, রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আলমগীর আলী, হাটহাজারী গড়দুয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার, ডিম সংগ্রহকারী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, রোসাঙ্গীর আলম।
কর্মশালার পূর্বে রাউজানের সর্তারঘাট এলাকায় হালদা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম প্রমুখ।