বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনন্য রূপকার রবীন্দ্রনাথ। সর্বক্ষেত্রে তার সফল পদচারণা বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে তিনি প্রায় একক প্রচেষ্টায় বিশ্বসভায় অসামান্য মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। মূলত তিনি কবি, তবে নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, অভিনেতা এবং চিত্রশিল্পী হিসেবে তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন এ জাতিকে। রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করে বাঙালি সংস্কৃতি কল্পনা করা যায় না। অপ্রতিরোধ্য নিয়তির মতো তিনি আছেন আমাদের সুখে, দুঃখে, ভালোবাসায়, মমতায়, আলিঙ্গনে কিংবা বিচ্ছেদে। কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা : রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ম পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ কলাম
বাঙালির চেতনা, মেধা ও মননে চিরভাস্বর। শুধু সাহিত্যই নয়, প্রতিটি শাখায় ছিলো তাঁর পদচারণা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি বা লেখক হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত ছিলেন না, তিনি আধুনিক সমাজ গড়ার সংস্কারক হিসেবে কাজ করেছেন। শিশুদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ চিন্তা ছিলো। তিনি শিশুদের নিয়ে বেশি লেখালেখি করতেন। রবীন্দ্রনাথ অসংখ্য গান, কবিতা রচনা করেছেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা,
জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল বক্তব্য দেন। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।