অনলাইন নিলামে উঠছে ফেব্রিক্সসহ ৯০ লট পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস : দরপত্র দাখিলের সময়সীমা ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত

জাহেদুল কবির | বৃহস্পতিবার , ৯ মে, ২০২৪ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন ধরণের ৯০ লট পণ্য অনলাইন নিলামে (ই অকশন) তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে অনলাইনে দরপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে ৭ মে সকাল ৯টা থেকে ১৬ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এছাড়া বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) আগামী ১২ ও ১৩ মে নিলামের পণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ইঅকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরণের ২৩ লট পণ্য এবং গত ৩১ ডিসেম্বর ১০৮ লট পণ্য ইঅকশনে তোলা হয়। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ধরণের ৭৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। তবে সেই নিলামে ৩৫ লটের একটি দরপত্রও জমা পড়েনি! এছাড়া বাকি ৪৪ লটে অংশ নিয়েছে ১৬ বিডার।

চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক বশির ইকবাল কাদেরী বলেন, অকশনে এখনো অনেক বিডার অভ্যস্ত হতে পারেনি। এছাড়া ই অকশনের অনেকগুলো কাজ এখনো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতে হচ্ছে। শুধুমাত্র দরপত্র জমাটা অনলাইনে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. সেলিম রেজা জানান, রুটিন আমাদের একটি নিয়মিত কাজ। সেই কাজের অংশ হিসেবে আমরা এবার ৯০ লট পণ্য নিলামে তুলেছি।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়তলীতে হোটেলে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধ‘বাঙালির মেধা মননে ভাস্বর রবীন্দ্রনাথ’