বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌরসভার পন্থিছিলা এলাকায় পাঁচটি বড় ধরনের গাছ ভেঙে পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এসময় মহাসড়কের উভয়মুখী সড়কে আটকা পড়ে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন। অপরদিকে, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লোহাগাড়ায় গাছ পড়ে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে শত শত আটকা পড়ে। দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীদের। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন উপসড়কে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল।
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মহাসড়ক থেকে গাছগুলো সরিয়ে ফেলে। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও মহাসড়কের রাস্তার উভয় পাশে যান চলাচল করে ধীর গতিতে। ফলে মহাসড়কে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে দূরপাল্লার যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বেশ কয়েকটি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। গতকাল সোমবার ৩ টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে মহাসড়কে গাছ পড়ার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে আসা সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল জানান, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ার ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে গাছগুলো সরানোর চেষ্টা করি। স্থানীয়দের সহায়তায় সড়ক থেকে গাছগুলো সরানো হয়েছে। এ সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী বিভিন্ন যানবাহন যানজটে আটকা পড়ে। গাছগুলো সরানোর পর যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে।
লোহাগাড়া প্রতিনিধি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কের সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা ও চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর ছোট–বড় গাছ এবং ডালপালা ভেঙে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাতাসের গতি কমে যাওয়ার পর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সড়কের উপর পড়ে থাকা গাছপালা সরিয়ে নেয়।
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা রুবেল আলম জানান, বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে জাঙ্গালিয়া এলাকায় গিয়ে প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর মহাসড়কের উপর পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।