অত্যধিক গরমে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত,ঠিক তখনও জীবন–জীবিকার তাগিদে অসহনীয় মাত্রার তাপে পুড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রচণ্ড উত্তাপে সারাদেশে হিট–এলার্ট জারি করা হলেও পরিবর্তন হয়নি রিক্সাওয়ালার প্রতিদিনের বিচরণ ক্ষেত্র। তাপমাত্রা প্রায় সময়ই ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলছে, কিন্তু কৃষক–দিনমজুররা কাজ করছেন সেই আগের মতোই খোলা আকাশের নিচে। হিট–স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন কাজে নামছেন শ্রমিকরা। উদ্ভূত এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে স্বাস্থ্যবিদরা স্যালাইন ও ডাবের পানি খেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পানি শূন্যতা মেটাতে অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষই শুধু মাত্র খাবার পানি ছাড়া আর কিছু সংগ্রহ করতে পারেন না। কেননা দাবদাহ বাড়লেও বাড়েনি নিত্যদিনের মজুরি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে নিজের সুস্থতার পিছনে কিছু ব্যয় করতে গেলেই তা অন্যদিকে সংকট সৃষ্টি করবে। সব মিলিয়ে খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে দিন কাটছে এসব মেহনতি মানুষের।
তবে এর মাঝেও খুবই স্বল্প পরিসরে কিছুটা আশার আলো দেখা যায়। ইদানীং অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিক্সাওয়ালা ও শ্রমিকদের স্যালাইন ও খাবার পানি দিয়ে সাহায্য করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশও এ সময় শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। তবে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনগুলো আরেকটু তৎপর হলেই এই মানুষগুলোর দুর্ভোগ অনেকটাই কমানো যাবে।
মো. মাহফুজ রহমান
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।