চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, একজন প্রবাসী অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে অর্থ পাঠায় এবং সে অর্থে তার পরিবার স্বাবলম্বী হয়। যখন প্রবাসী মানুষটি নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে আসে তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে বিমানবন্দর থেকে আনতেও অসম্মতি জানায়। সে পরিবার ও সমাজের কাছে বঞ্চনার শিকার হয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় প্রবাস স্কিম চালু করেছেন। প্রবাস স্কিমে চাঁদা প্রদান করলে ভবিষ্যতে প্রবাসীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। প্রবাসী যখন কর্মহীন হবে তখন এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
করোনা মহামারীজনিত কারণে বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও পুনঃএকত্রীকরণের (রি–ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এ কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি নিবন্ধনের মাধ্যমে বিদেশগামী যাত্রীদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রবাস স্কিমের আওতাভুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমাদ খানের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) নিস্কৃতি চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবীর আহম্মেদ সভায় বক্তব্য রাখেন। সভাপতির বক্তব্যে শোয়েব আহমেদ চট্টগ্রামে প্রবাসীদের সকল সেবা একই ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো প্রবাসী কল্যাণ ভবন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।