কক্সবাজারের পেকুয়ায় মুজিবুর রহমান (২৮) নামে হাফেজখানার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই শিক্ষার্থীর বয়স ১১ বছর। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার ইমাম হোছাইন (রা.) হাফেজখানায় এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক মুজিবুর রহমান একই ইউনিয়নের মইয়্যাদিয়া এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের এক সদস্য জানান, রবিবার সকালে আমাদের ছেলে হাফেজখানা থেকে বাড়িতে আসে। সেদিন সে হাফেজখানায় আর ফিরে যায়নি। আজ সোমবার সকালে তাকে হাফেজখানায় পাঠানোর জন্য তাঁর মা প্রস্তুত করে দিলেও সে যেতে চাচ্ছিলোনা।
পরে সে তাঁর মাকে হুজুরের শারীরিক নির্যাতনের কথা খুলে বলে। এমনকি গত রমজানেও অনেকবার সে ওই শিক্ষকের কাছে বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে জানায়।
ভুক্তভোগীর পিতা এ ঘটনা জানার পর সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষককে হামলার উদ্দেশ্যে হাফেজখানায় যায়। তখন স্থানীয়রা তাকে আটকে রাগ প্রশমণ করার চেষ্টা করে। এতে বলাৎকারের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বলাৎকার করেছি এটার কোন প্রমাণ নেই। ছেলেটা কেন অপপ্রচার করছে জানিনা। ব্যাপারটি নিয়ে সমাজের গণ্যমান্য মানুষেরা বৈঠকে বসেছে। তাঁরা বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নিব।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ জানান, হেফজখানার এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের কথা শুনেছি। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যদি ওই শিক্ষক বলাৎকার করে থাকেন তাহলে সমঝোতা বা ধামাচাপা দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা এ ঘৃণ্য বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করবে তাঁদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।