ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই ভারত সফর হবে, তবে ভারতের নির্বাচনের পরে। সেটি কখন হবে সেটি নিয়ে কোনো আলোচনা ইতোমধ্যে আমাদের অফিসিয়াল লেভেলে হয়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন; সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সরকারপ্রধান। খবর বিডিনিউজের।
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বাসস এক প্রতিবেদনে জানায়, চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে তার দেশের সরকারের তরফ থেকে এই আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ইয়াও ওয়েন আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, আশা করা যায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ (শেখ হাসিনার সফরে) নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সরকারি সফরে জার্মানি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে তিনি প্রথমে ভারতে নাকি চীনে যাবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম লিখেছে, জুনের শেষ সপ্তাহে ভারত সফর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, সেই সফর হবে ভারতের নির্বাচনের পর। তবে কোনো দিনক্ষণ না জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি যে সংবাদটি পত্রিকায় দেখেছেন, আমিও সেই সংবাদটি পত্রিকায় দেখেছি।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।