ঈদযাত্রার প্রথমদিনে ট্রেনে ছিল না ভিড়

অনেক ট্রেনের অর্ধেক আসন ফাঁকা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটে ঘরমুখো যাত্রীদের প্রথম যাত্রা গতকাল শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে যাত্রীদের তেমন ভিড় ছিল না ট্রেনে। অনেক ট্রেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা ছিল। সকাল থেকে প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে। আরো ২৩দিন পর ট্রেনে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়বে বলে জানান চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার। সকাল দুপুরে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের অগ্রিম টিকিটের প্রতিটি ট্রেন যথা সময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে। বেশি ভিড় না থাকায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে ট্রেনে ওঠে নির্দিষ্ট আসনে বসতে পেরে ভীষণ খুশি। বিকালে সোনার বাংলা ট্রেনে উঠে দেখা গেছে, ট্রেনের প্রায় বগিতে আসন ফাঁকা। একই অবস্থা সুবর্ণ এঙপ্রেসেও।

আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীদের মাঝে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল। ঈদের আগে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৭১৫ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামকঙবাজার রুটে ১ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল, ঈদের পরদিন থেকে তিন দিন চলবে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামচাঁদপুর রুটের চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (চারটি ট্রেন), চট্টগ্রামময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন), ঢাকাদেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) চলবে। এসব ট্রেন ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরের দিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত চলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেন বার বার লোডশেডিং কী বলছে পিডিবি
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত