চলো, দুজন আবার প্রেমে পড়ি। সেই ল্যান্ডফোন আর চিঠির পাতার প্রেম। রিঙায় বসা স্কুলগামী প্রেমিকার মতো সেজে থাকা আমি, তুমি বাইসাইকেল থেকে চিঠি ছুড়ে দিয়ে দ্রুত পাশ কাটিয়ে যেও। স্বহস্তে লেখা চিঠি, আহ! কী রোমান্টিক হবে সে চিঠি। বিশেষ কোনো দিবসের তপ্ত দুপুরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকো আমার প্রতীক্ষায়, অথবা আবেগি বিকেলে মহল্লার মোড়টাতে অপেক্ষায় থেকো, কখন আমি ঝুল বারান্দায় এসে আমার অস্তিত্বের জানান দিবো, তার। একটু চোখাচোখি হতেই ভিন্ন অনুভূতির আবেশ ধরবে ঘিরে। কিছুদিন দেখা না হলে অস্থিরতায় কাটুক দিন, দেখা হবার দিন ভীষণ রকম ঝগড়া হোক, অভিমান হোক প্রচণ্ড তবে অনুযোগ থাকবে না কোনো। কিন্তু দিন শেষে একে অপরের জন্য হৃদয়ে উঠুক ঢেউ। আবার একটা চিঠির প্রয়োজন হোক, এবার থাকুক প্রচণ্ড আবেগে ভরা অপেক্ষার প্রহর গোণা।
এবার চিঠির পাতায় আঁকা থাকুক বিশেষ সাতটা ডিজিট, ‘হ্যালো’ ধ্বনির সাথে কাঙ্ক্ষিত কণ্ঠস্বর শোনার তাগিদটা থাকুক। অপরিচিত কণ্ঠকে ‘রঙ নম্বর’ বলে লাইন হোক চ্যুত। আরেকবার পরিচিত কাঙ্ক্ষিত সেই কণ্ঠ শুনে কিছুটা সময় নীরবতায় হোক কথোপকথন, রিসিভার কানে চেপে শব্দহীনতায় হোক অজস্র শব্দের আদান–প্রদান। প্রতিদিনের আসা যাওয়ার পথে পাশাপাশি থেকে নয়, কিছুটা দূরত্ব রেখে পিছুপিছু হাঁটা হোক কিছুটা পথ। এমন একটা প্রেম হোক! আবার একবার নব্বই দশকের অসম্ভব ভালোলাগার একটা প্রেম হোক আমাদের, আর একটা বার!