ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের ভোট হবে আগামী ৮ মে। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন সংশোধন করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীদের চেয়ে ৫ গুণ বেশি করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ গুণ। নতুন আইন অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবার জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৭৫ হাজার টাকা। সদ্য সম্পন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা।
জামানত ৫ গুণ বাড়ানোর পরও প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা এবার অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। অনেক উপজেলায় গতবারের দ্বিগুণ সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রার্থীর সংখ্যা আগের চেয়ে বেশি।
এদিকে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থক সূচক ২৫০ ভোটারের তালিকা লাগবে না বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে। কারণ এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না বলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২১ মার্চ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। প্রথম ধাপে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ১৮ উপজেলায় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ এই তিন উপজেলায় ভোট হবে। কঙবাজারে ৩ উপজেলায়, বান্দরবানে ৪ উপজেলায়, রাঙামাটিতে ৪ উপজেলায় এবং খাগড়াছড়িতে ৪ উপজেলায় ভোট হবে ৮ মে। কঙবাজারের তিন উপজেলার সবগুলোতে ভোট হবে ইভিএমে।
নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগ্রহী প্রার্থীদের সরব পদচারণা শুরু হয়েছে। ২১ মার্চ তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী আমেজ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। এখন চলছে ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা। দলীয় প্রতীকবিহীন নির্বাচনের ঘোষণায় সাধারণ ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, এতদিন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর নির্বাচনে দল থেকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার কারণে মনোনয়নপ্রাপ্তরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না। তারা শুধু নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য মরিয়া হতেন। কেন্দ্রে যোগাযোগ, তদ্বির নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। কোনো রকমে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে যেতেন না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। এই ঘোষণার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন।












