কাউন্সিলর টিনু কারাগারে

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ মার্চ, ২০২৪ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকার একটি ফার্মেসির সামনে থেকে মেহেদী হাসান রাকিব নামের এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার এ আদেশ দেন। এর আগে টিনু আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ী রাকিবের দায়ের করা মামলায় কাউন্সিলর টিনু আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিডিনিউজ জানায়, গত ৪ মার্চ নগরীর পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা করেন ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রাকিব, যিনি চকবাজার এলাকায় যুবলীগের রাজনীতি করেন। টিনু ও তার দলবল ছুরি দিয়ে জখম ও মারধর করে রাকিবের টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুসহ মোট ৬ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেনকায়সার হামিদ, সাকিবুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রাজু, মো. আজম ও মো. শাকিল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩ মার্চ রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পূর্ব গেইট সংলগ্ন ‘একুশে ড্রাগ হাউস’ নামের একটি ওষুধের দোকানে ছিলেন রাকিব। সেখানে থাকা রাকিবের বন্ধু অভিজিৎ সেন মিশুর মোবাইলে ফোন করে রাকিবের সঙ্গে কথা বলেন কাউন্সিলর টিনু। পূর্ব বিরোধের জের ধরে টিনু আমাকে টেলিফোনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। আমার অপরাধ কী জিজ্ঞেস করলে তখন আমাকে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি দিয়ে তুলে নেওয়ার এবং মামলা দিয়ে লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিনুর নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা আরো ১০১৫ জন লোক নিয়ে এসে ওই ওষুধের দোকানে প্রবেশ করে। ওই সময় তারা ছোরা হাতে দোকানে ঢুকে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে কায়সার হামিদ ছোরা দিয়ে আমার বাম হাতের কবজির উপর জখম করে। আরেক আসামি সাকিবুল ইসলাম আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।

রাকিব বলেন, এরপর আসামিরা জোর করে টেনেহিঁচড়ে মোটর সাইকেলে বসিয়ে আমাকে চকবাজার ওয়ার্ড কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি মো. আজম ও মো. শাকিল চড়থাপ্পড় মেরে চোখ মুখে জখম করে। এক পর্যায়ে আসামি নূর মোস্তফা টিনু এই ঘটনা কাউকে বললে আমাকে জানে মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দেয়।

পরে স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরদিন পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন রাকিব। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন রাকিবের রাজনৈতিক সহকর্মী ও অনুসারীরা পাঁচলাইশ থানার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করলে তাতেও হামলা হয়। হামলায় কয়েকজন আহত হন। ওই হামলার জন্যও কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুকে দায়ী করেন রাকিব। তিনি নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য নূরুল আজিম রনির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত
পরবর্তী নিবন্ধহত্যাযজ্ঞের নীলনকশায় ইয়াহিয়া খানের অনুমোদন