চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে কোনো সীমান্ত নেই। দুই দেশের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক বিরাজমান। আমরা চাই সব ধর্ম–বর্ণের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে এবং একসঙ্গে কাজ করতে। তীর্থপীঠ তুলসীধাম দর্শনে মনে শান্তি আসে। যারা তীর্থস্থানের সংস্পর্শে থাকেন, তাদের মন পবিত্র হয়। স্রষ্টা তাদের প্রতি সর্বদাই প্রসন্ন থাকেন।
নন্দনকানন তুলসীধামে শিব চতুর্দশী ব্রত ও ঋষিকুল শিরোমণি স্বামী নারায়ণ পুরী মহারাজের মহাপ্রয়াণের ৯ম স্মরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঋষিধাম অধিপতি ও তুলসীধামের মোহন্ত দেবদীপ পুরী মহারাজের পৌরহিত্যে গত ৯–১৩ মার্চ এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির। ডা. রাজীব রঞ্জন ও তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা রঞ্জন এসময় পুরোহিত মিলন চক্রবর্তীর মন্ত্রোচ্চারণে শিব স্নানে অংশ নেন এবং মদনমোহন মন্দিরে বিগ্রহ দর্শন করেন। তাঁরা স্বামী নারায়ণ পুরীর সমাধিপীঠে পুষ্পার্ঘ অর্পণপূর্বক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তুলসীধামে এ উপলক্ষে ধ্বজা উত্তোলন, সমাধিপীঠে গীতাপাঠ ও চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীযজ্ঞ, শিবপূজা, গুরুপূজা, দীক্ষা দান, অদ্বৈত–অচ্যুত মিশন বাংলাদেশের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ গ্রহণ, অদ্বৈত–অচ্যুত শিল্পীগোষ্ঠীর শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও ভক্তিগীতি, অষ্টপ্রহর মহানামযজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, অদ্বৈত–অচ্যুত চিকিৎসক ফোরামের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। ধর্মালোচনায় বক্তব্য দেন, অধ্যাপক স্বপন চৌধুরী, স্থপতি প্রণত মিত্র চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা সুধাংশু রঞ্জন দাশ, বিকাশ কান্তি দে, সুুজিত হাজারী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।