তাকওয়া, পরহেজগারিতা ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের অবারিত সুযোগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। এ মহিমান্বিত মাসেই প্রিয় রাসূলের (দ.) উপর নাজিল হয়েছে হেদায়তময় মহা ঐশীগ্রন্থ আল–কোরআন এবং রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর। এ বরকতময় মাসে অধিক হারে কোরআন তিলাওয়াত করার জন্যে রাসূলুল্লাহ (দ.) হাদিস শরীফে ইরশাদ করেছেন।
কোরআনের আলোয় অন্ধকার সমাজকে আলোকিত করার জন্যে খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রবর্তন করেছেন ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিল। যে মাহফিলে শুধু দেশের নয় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের আপামর মুসলমানরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রতি বছর আদায়কৃত হাজার হাজার খতমে কোরআন তারই সাক্ষ্য বহন করে। এ দরবারে জাহেরীভাবে কোরআন তেলওয়াতের কর্মসূচি রয়েছে, আর অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধির জন্য রয়েছে ফয়েজে কোরআনের ব্যবস্থা। কোরআনকে অন্তরে ধারণ করে কোরআনের শিক্ষাকে জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর দর্শন যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ঈছালে ছাওয়াব ও এ দরবারের মহীয়সী রমণী জামানার রাবেয়া বসরী, ফাতেমায়ে ছানী রূহানী আম্মাজানের (রাহ.) সালানা ওফাত স্মরণে ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ তকরিরে এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, এ বছর ১৪,৯৮৭টি খতমে কোরআন, ৮১৪টি তাহলিল, ৮৬ টি খতমে ইউনূচ ও ৪৫ টি দরূদে সাইফুল্লাহ আদায় করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।