সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর একটি হওয়ার পথে অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। এই সমৃদ্ধির উচ্চাভিলাস অতি–আবেগের। অবকাঠামোগত শতশত মেগা প্রকল্প বাস্তব রূপ ধারণ করলেও আমরা কি বর্তমান বাংলাদেশের ৮৭১৯১টি গ্রামের ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছি? আক্ষরিক অর্থেই না। কিছু কিছু গ্রামের পরিবেশ হয়তো ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু, অধিকাংশ গ্রামের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতির উন্নয়ন নেই বললেই চলে। যাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনগণের প্রতিনিধি বানানো হয় ওরাও নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করে কী হবে, যদি মূলধারার শিক্ষাটা প্রতিটি শিক্ষার্থী না পায়? নতুন সড়ক, মহাসড়ক দিয়ে কী হবে যদি ব্যবহারকারীদের জীবন নিরাপদ না থাকে? স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর বেহাল দশার জন্য দায়ী কারা? যদিও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। সেখানেও চিকিৎসা করা ব্যয়বহুল। নিতান্তই বাস্তব প্রেক্ষাপটে যদি চারদিকটা পর্যবেক্ষণ করা হয়, দেখা যাবে কত কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। উন্নয়ন শুধু রাস্তা–ঘাটে নয়। বাকিসব বাদই দিলাম। সঠিকভাবে নিজের ধর্ম পালন করে মর্মবাণী বুঝতে শিখলে এতোসব হতো না। প্রায়ই জায়গায় ধর্ম পালন তো দূরে, ধর্মান্ধতা লালন করে হিংসাত্মক তৎপরতা বিস্তৃত করে। মানুষকে উস্কে দেয় ধর্মানুভুতিতে আঘাত হেনেছে বলে। এই সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসার কথা বছরের পর বছর শুনে আসছি। কাজের কাজ কূন্য। শহরে যারা বড়–ছোট অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় এসব বলেন তারা যদি গ্রামে এসে বাস্তবে প্রতিফলিত করতো তাহলে সত্যিকারের উন্নয়ন হতো পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থায়।