ফুটপাত থেকে উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্দখল রোধে চলা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অভিযানে হামলা ও হকার–পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরের পেশকার মো. আবু জাফর চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম (৪৫), সভাপতি মিরন হোসেন মিলন (৫২), যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া (৪৭), চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু (৫৯), সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া (৫০), মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাহীন আহমদ (৪৬), সদস্য নূর মোহাম্মদ (৪৫), হকার্স লীগের সাবেক সভাপতি ঋষি বিশ্বাস (৫৩), হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি (৪৮), চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারেক হায়দার (৩৮) এবং সোহেল (৩৫) নামে এক হকার। মামলা দায়ের করার বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানার জন্য একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম ওবায়েদুল হক।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালী থানার আমতল থেকে নিউ মার্কেট হয়ে ফলমন্ডি পর্যন্ত অবৈধ হকার উচ্ছেদে অভিযান চালায় চসিক। ওইদিন সাড়ে চার হাজার হকার উচ্ছেদ করা হয়। ভেঙে দেয়া হয় অবৈধ দখলে নিয়ে হকারদের নির্মাণ করা বিভিন্ন স্থাপনা। উচ্ছেদ হওয়া ওইসব জায়গা আবারো দখলে নেয় ভাসমান হকাররা। এক্ষেত্রে স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব হকার ফুটপাত পুনর্দখল করে বলে পথচারীদের অভিযোগ আছে। খবর পেয়ে চসিক গত সোমবার বিকেলে পুনর্দখল ঠেকাতে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে স্টেশন রোডের পাবলিক টয়লেটের পাশে হকারদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে স্থাপন করা একটি জেনারেটর জব্দ করে চসিক। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলা করে হকাররা। এতে বাধা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ লেগে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়।